লোহিত সাগরে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির হামলায় ৪০ হাজার টন সারবাহী একটি জাহাজ ডুবে গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরাও। এরপর থেকে নিয়মিত লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে হুতিরা হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। এরপর থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
গতকাল শনিবার হুতির হামলায় ৪০ হাজার টন সারবাহী জাহাজডুবি। এতে ৪০ হাজার টন সার ছিল। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা এতে করে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের পরিবেশ ও বাণিজ্যবিষয়ক ম্যানেজার জন স্টপার্ট বলেন, বিশাল সংখ্যক সার ডুবে যাওয়ায় সামুদ্রিক পরিবেশ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে।
ইতোমধ্যে এ রুট থেকে অনেক জাহাজই রাস্তা বদলে নিয়েছে। এই রাস্তার দুর্ঘটনার কারণে জলপথে চলাচলকারী জাহাজগুলির চলাচলের পরিধি বেড়ে উচ্চ বীমা হারের ঝুঁকির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই অঞ্চলে ত্রাণ চালান প্রভাবিত হতে পারে।